মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০

বিখ্যাত বৌদ্ধ তীর্থ পাও-হোয়া-সান(Bao-Hua-Shan) ভ্রমণ

বসন্তের শেষে গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন মন-প্রাণ অতিষ্ট,এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজতে বা এক মূহুর্তের দখিনা বাতাসে ভেসে যাওয়ার জন্য যখন ইচ্ছে হচ্ছিলো তখন বেলকনতি বসে ভাবছিলাম গ্রীষ্মের এই দীর্ঘ ছুটিতে কিছুই করা হয়নি।না পড়েছি না ঘুরেছি।তাহলে কি করা যায়?



মেঘদূতের মত উদয় হলো আতিক।সে শুধু আমার ক্লাসমেটই নয় আমার সকল ভ্রমণের সাথী।
হঠাৎ এসে বলল, রনি ভাই,সকালে কি কোনো কাজ আছে?
শুধু বললাম কোথায় যাবে?
মুচকি হেসে উত্তর দিলো, পাও-হোয়া-সান(Bao-Hua-Shan).

কিছুটা অবাক হলাম।এটা আবার কোথায়!
তাকানো দেখে,বুজে নিলো,জায়গাটা আমার কাছে অপরিচিত।সে হরহর করে কিছুক্ষণ বকে গেলো।
যা বললো তার সারমর্ম দাড়াঁয়,সে জানেনা এটা কোথায়! শুধু জানে এটা জেনজিয়াং শহরের আশেপাশে(বোঝার সুবিধার্থে বলে নেই,আমি চীনের জিয়াংসু প্রভিন্সের জেনজিয়াং শহরে থাকি।জিয়াংসু ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়ি)।
জিজ্ঞাসা করলাম,তাহলে কিভাবে যাবো?
উত্তরে বললো,নাঈম ভাই জানে।

আর কিছু না বলে এক দৌড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে চলে গেলাম ডর্মের ছয় তলায় নাইম ভাইদের রুমে।
নাঈম ভাইকে কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই বললো, রনি,রেডি থেকো।একসাথে যাবো আমরা।
তবে ওই পর্যটন প্লেসের লোকেশন আর বাস ভাড়ার জন্য কয়েন ব্যবস্থা করে রেখো।
এটা কোনো কঠিন ব্যাপার ছিলোনা আমার জন্য।

আমার চাইনিজ বন্ধু ও শুভাকাঙ্খির সংখ্যা নেহাত মন্দ নয়।ইউনিভার্সিটির ভলান্টিয়ার অরগানাইজেশান এ কাজ করার সুবাদে অনেক ভ্রমণ পাগলার(সম্মানার্থে)সাথেই যোগাযোগ আছে যারা হুটহাট ভ্রমণ করতে পছন্দ করে।
তবে ওদের না জিজ্ঞাসা করে আমার শুভাকাঙ্খি একজনকে ফোন দিলাম যিনি জেনজিয়াং এর সিনিক স্পটগুলো সম্পর্কে ভালো জানেন।উনি কয়েক মিনিটের মধ্যেই লোকেশন সহ সবকিছু বিস্তারিত ভাবে উইচ্যাটে(চাইনিজ কমিউনিকেশন এ্যাপ) পাঠিয়ে দিলেন।
আমার বাস কার্ড করা আছে তাই কয়েন নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে হয়নি।উল্টো বাস কার্ডের দরুন ভ্রমণব্যয় অর্ধেক কমে আসবে।

আমাদের আবার ভ্রমণে গিয়ে খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়না।ভ্রমণে পাউরুটি-কলাই নিত্য ক্ষুধা নিবারণের মাধ্যম।তাই এই নিয়ে কোনো আলোচনা ছাড়াই আতিক আর নাঈম ভাই মিলে কলা-পাউরুটির ব্যবস্থা করে ফেললো।ঠিক হলো,৮ টার আগেই আমরা সবাই ডর্মের সামনে থাকবো।পরদিনের ভ্রমণের কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম তা আর টের পেলাম না

ভ্রমণ কাব্য শুরু করার পূর্বে আসুন পাও-হোয়া-সান(Bao-Hua-Shan) সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।

পাও-হোয়া-সান(Bao-Hua-Shan)পর্বতমালাটি  ইয়াংজু নদীর কোল ঘেষে অবস্থিত এবং পশ্চিম দিক থেকে বিখ্যাত দুই পর্বতমালা চংসান(Zhong Shan) ও চিশিয়া( Qi xia) পর্বাতমালার সাথে সংযুক্ত।
পর্বতমালাটির শতকরা ৯২ভাগ জয়াগা দুষ্প্রাপ্য উদ্ভিদ দ্বারা আচ্ছাদিত।এখানে অনেক প্রাচীন দুষ্প্রাপ্য লতা-গুল্ম পাওয়া যায়।


পর্বতমালাটি Huang-Hua-Man-Shan(黄花满山) বা হলুদ পর্বত নামে পরিচিত ছিলো।কারণ গ্রীষ্মের প্রারম্ভে এটি হলুদ পাহাড়ি ফুলে ছেয়ে যায়।দু-চোখ জুড়ে তখন হলুদের সমাহার।

পাওহুয়া মঙ্গোলিয়া(Baohua Mongolia)
পাওহুয়া মঙ্গোলিয়া(Baohua Mongolia) নামের এক বিখ্যাত ও দুষ্প্রাপ্য ফুল দেখতে পাওয়া যায় এখানে এই ফুলটি আকৃতিতে পদ্মের ন্যায় বড় এবং দেখতে বরফের মত সাদা।
এছাড়া আরো নাম না জানা অসংখ্য ফুলের সুভাসে সারা পর্বতমালা মোহিত হয়ে রয়।
এই পর্বতমালাটি প্রকৃতিতে বিলুপ্তপ্রায় অনেক প্রজাপতি ও পাখির অভরায়ন্য হিসেবে বিশ্বব্যাপি পরিচিত।
ধ্যাণী বৌদ্ধ
বৌদ্ধিজমের জন্য এই পবর্তমালাটি বিশেষ
করে  বিখ্যাত।গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৌদ্ধ- ধর্মাবলম্বী এখানে ভীড় জমায়।পাও সাম্রাজ্যের(Bao Dynasty) সময় লিয়াং জি(Liang Zhi) নামের এক বিখ্যাত বৌদ্ধ সন্যাসি ও তার শিষ্যরা এখানে আশ্রম ঘরে তুলেন । তিনি এই অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তারে ভূমিকা রাখেন।সম্রাট চিয়ান লং এর পৃষ্টপোষকতায় পর্বতমালাটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি তীর্থ স্থানে পরিণত হয়।এই স্থানটি গত পনেরশত বছর ধরে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষি।তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ স্থান।


আসুন এবার নিজেদের কথা বলি।

সকালে আমরা(নাঈম ভাই,উনার একজন বন্ধু,বাপ্পি ভাই,আতিক,ফয়সাল ও আমি) ডর্মের সামনে আসলাম।তবে হিমু ভাই ও জীবন ভাইয়ের কোনো দেখা নাই।সবাই ফোনে চেষ্টা করছি কিন্তু ফোন রিসিভ করছে না।
কি আর করার!তাদের রেখেই ইউনি.'র সামনে থেকে নির্দিষ্ট বাসে করে রওনা দিলাম।কয়েক স্টেশন পরে আবার বাস চেন্জ করে অন্য আরেক বাসে চড়লাম।প্রায় তিন ঘন্টার লম্বা একটা ক্লান্তিহীন ভ্রমণ ছিলো।জেনজিয়াং সিটি ছাড়িয়ে যখন বাস কান্ট্রিসাইডে গেলো তখন মনে হলো গত দেড় বছরে কিছুই দেখা হয়নি।সারি-সারি পাহাড়ের কোল ঘেষে অসংখ্য আঙ্গুর বাগান।থোকায় থোকায় কাচাঁ-পাকা আঙ্গুর ।লোভাতর নয়নে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় ছিলোনা।হাতের নাগালে হলে একবার চেষ্টা করে দেখতাম একবার
                                         "আঙ্গুর ফল টক না মিষ্টি"
                                                                                        সমতল দেশের লোক হওয়াতে পাথরের পাহাড় গুলোর দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলাম।কত শত শতাব্দী জুড়ে এগুলো স্থির পায়ে দাড়িয়ে আছে।পাথরের দিকে অপলক নেত্রে তাকিয়ে অন্জনা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা আওরালাম

                  ‘পাথর নিয়ে ছিলো গভীর রাতে
                   পাথর নিয়ে ছিলো সকালবেলা
                   পাথর রাখে বুকের ওপরটাতে—
                 পাথর নিয়ে কোন পাহাড়ের খেলা।’
দীর্ঘ যাত্রাটি আামদের সেলফি,আড্ডাবাজি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মধ্যে দিয়ে কখন যে কেটে গেলো তা কেউই বুজতে পারিনি।
তবে হুঁশ হলো পাও-হুয়া-শান স্টেশন থকে এক স্টেশন ছাড়িয়ে যাওয়ার পরে।জিপিএসে লোকেশন দেখার দায়ীত্ব আমার থাকলেও অনেকদিনপর এমন মনভুলানো সৌন্দর্য দেখে আমার খেয়াল ছিলোনা। যা হওয়ার হয়ে গেছে।ভাই বললো,"আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে।কোনো সমস্যা নেই"।কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যে আর কোনো বাস নেই।ওইটা কান্ট্রিসাইড হওয়াতে দুইঘন্টা পরপর বাস পাওয়া যায়।
অপেক্ষা ছাড়া কোনো উপায় ছিলোনা।তবে আমাদের কোনো চিন্তা ছিলোনা।কারণ আমাদের সাথে ছিলো চাইনিজ ভাষায় পটু নাঈম ভাই।উনি কয়েক মিনিটের মধ্যেই এক চাইনিজের কাছ থেকে জেনে নিলো আর কোন বাসে করে আবার সহজেই ওই জায়গায় যাওয়া যাবে।
ওই ভদ্রলোক বললো, ১৫মিনিট পরেই একটা লোকাল বাস আছে। যার কিনা ওই সিনিক স্পটেই শেষ স্টেশন।
এমন সময় একটা মাইক্রোবাস থামলো আমাদের দেখে।বললো,উনি ওই দিকেই যাচ্ছে। আমরা যদি যাই,তাহলে শুধু ৯০ আরএমবি দিলেই চলবে।কিন্তু তা ছিলো আমাদের জন্য একটু বেশীই।তখন আমাদের পরিচিত চাইনিজটি বললো,মাইক্রোবাসে করে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। একটু পরে বাস এমনিতে আসবে।যেহেতু আমরা স্টুডেন্ট তাই এটা আমাদের জন্য ব্যয়বহুল হবে(স্টুডেন্টদের জন্য দরদ সবার একটু বেশীই থাকে)।
পাও-হোয়া-সান ন্যাশনাল রিজার্ভ ফরেস্টের প্রবেশের প্রাক্কালে 
কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস চলে আসলে তাড়াহুড়ো করে উনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে উঠে পড়লাম।এবার আর কোনো ভুল না করে নির্দিষ্ট স্টপেজে নেমে পড়লাম।

ভেতরে আমাদের জন্য বড় বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো।

নাম না জানা এক অসাধারণ স্থাপত্য 
আমরা জানতাম,পাও-হোয়া শান(Bao-Hua-Shan)সিনিক স্পটে প্রবেশ করতে কোনো  টিকিট কাটতে হয়না।কিন্তু গিয়ে দেখি উলটো।পঞ্চাশ আরএমবি করে টিকিট। স্টুডেন্টদের জন্য সব সিনিক স্পটেই প্রবেশমূল্য অর্ধেক।তাই পচিশ আরএমবি করে পে করতে হবে।কিন্তু কেউই স্টুডেন্ট আইডি সাথে নেইনি।শুধু নাঈম ভাইয়ের ভাষা দক্ষতার গুনে আমরা সে যাত্রায় পার পেয়ে যাই।





দিনের শুরুটা খারাপ হলেও একটু পরেই আলোর
মুখ দেখতে পেলাম।ভিতরে প্রবেশ করার পরেই দেখলাম ওইখানে কালচারাল ফেস্টিভ্যাল চলছে।এই বিষয়টা আমাদের জানা ছিলোনা।প্রাচীন চাইনিজ সংস্কৃতির উপস্থাপনই ছিলো ওই ফেস্টিভ্যালের উদ্দেশ্য। কিছুক্ষণ তাদের মুখাভিনয় ও নৃত্য উপভোগ করে পাহাড়ের উপরের দিকে হাটাঁ শুরু করলাম।

দিগন্ত জুড়ে হলুদের সমারোহ।গাছের পাতা দেখা যায়না নাম না জানা হলুদ ফুলের আচ্ছাদনে।পথে যেনো হলুদ গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে।
উপরে দুইভাবে উঠা যায়।টুরিস্ট কার অথবা হেঁটে। দ্বিতীয়টিতে আমাদের সবার আগ্রহ।এতে রথও দেখা যাবে কলাও বেচা যাবে।প্রকৃতির সান্নিধ্যে আরো কিছুক্ষন থাকা যাবে।
এই সিদ্ধান্তের কারণেই পরবর্তীতে আফসোস করতে হয়নি।
চলার পথে অনেককিছুই দেখা সম্ভব হতোনা যদি আমরা টুরিস্ট কারে করে যেতাম।

ঝর্ণার সামনে(আলোর দিকে হওয়ায় ভালো ছবিটি ভালো হয়নি)

প্রাচীন মঙ্কদের বাসস্থানের মধ্যে একটি প্রাকৃতিক ঝরণা(এর দুই পাশে মঙ্কদের বাসস্থান)রয়েছে।  যার দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে রইলাম।এই পাথুরে ঝরণাটি এলাকায় কাঠের প্রাসাদগুলোর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পাহাড়ের খাজেঁ খাজেঁ রয়েছে অসংখ্য প্রাকৃতিক লেক।লেকগুলোর চতুপাশ্বেই ফুটে রয়েছে অসংখ্য নাম না জানা ফুল।মনে হয় যেনো লেকের চারপাশে ফুলের বাঁধ দেওয়া আছে।

ট্রেডিশনাল চাইনিজ বোট রেস্টুরেন্ট
প্রধান লেকের পাশে অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যেগুলোতে হরেক রকমের চাইনিজ ট্রেডিশনাল খাবার পাওয়া যায়।লেকের উপরে একটি অসাধারণ বোট রেস্টুরেন্ট আছে।চৌকাণা আকৃতির চাইনিজ ট্রেডিশনাল বোট।
প্রধান লেক পার হয়ে অনেকক্ষণ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাটলাম।পাহাড়ের প্রত্যেকটা বাকঁ যেনো বিস্ময় নিয়ে দাড়িয়ে আছে।প্রত্যেক বাকঁ থেকেই পাখির চোখে পুরো এরিয়াটি দেখা যায়।

বিখ্যাত সন্ন্যাসি লিয়াং জি'র প্রাচীন গ্রাম
ঘন্টা দুয়েক হাটাঁর পর,একটি ট্রেডিশনাল চাইনিজ গ্রাম দেখতে পেলাম।পুরোটাই সাজানো-গুছানো আছে যেমন ছিলো লিয়াং জি( Liang Zhi) এর সময়ে।কিন্তু সংস্কার জনিত কাজের কারণে ওইদিন গ্রামে প্রবেশ বন্ধ ছিলো।চারপাশে কিছুক্ষণ ঘুরে কিছু ছবি তুলে পাহাড়ি রাস্তা ধরে উপরে উঠতে লাগলাম
হঠাৎ খুঁজে পাওয়া অপূর্ব লেক
গ্রামটি পার হওয়ার পরে হঠাৎ করে কিছু পাখির উড়াউড়ি দেখতে পেলাম।মিনিট দশেক পাহাড়ি ঝোপঝাড় পেরিয়ে অবশেষে যা দেখলাম তাতে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় ছিলোনা।কল্পনাতীত ভয়ংকর সুন্দর দৃশ্য।
কেউ যদি হারিয়ে যেতে চায় তাহলে এর  থেকে উপযুক্ত স্থান না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।বিশুদ্ধ বাতাস,পাখির কলতান,বিস্তৃত লেক।আর কি চাই!

ফিরে আসার পথে আমরা
বিকাল পাঁচটার পরে আর থাকা যাবেনা এখানে।তাই আর দেরী না করে  উল্টো পথে ছুটলাম।
পাহাড়ি রাস্তা বেয়েঁ উপরে উঠতে অনেক  কষ্টে হলেও অনেক তাড়াতাড়ি নিচে নেমে আসলাম।শেষ বিস্ময় হিসেবে তখন অপেক্ষা করছিলো চাইনিজ অপেরা।লেকের উপরে স্টেজে অপেরা হচ্ছে আর লেকের পাড় থেকে কেউ দাড়িয়ে আর কেউ বসে দেখছে।

বিদায় সম্ভাষণ 
সন্ধ্যার আগমনে পাও-হোয়া-সান কে বিদায় জানিয়ে বাস স্টেশনের দিকে রওয়ানা দিলাম।
আসতে কোনো অঘটন ঘটে নি।তবে সবারই ছিলো মনখারাপ।কোনো এক মায়াজালে যেনো আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম ।

আমাদের ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টদের সুবিধার্থেঃ

পাও-হোয়া-সান ন্যাশনাল পার্কটি জিয়াংসু ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এর সাউথ ক্যাম্পাস ওয়েস্ট গেইট থেকে প্রায় ৪০ কি.মি. দূরে অবস্থিত।
সাউথ ক্যাম্পাসের ওয়েস্ট গেট থেকে ১৮,৬৭,২১৮ নাম্বার বাসে করে দাশিকো( ভাড়া- ১ আরএমবি)।দাশিকো থেকে ৬০৬ নাম্বার বাসে করে পাও-হোয়া-সান ন্যাশনাল পার্ক স্টেশন( ভাড়া - ৪ আরএমবি)।
তবে স্টুডেন্ট কার্ড নিতে ভুলবেন না।তা না হলে প্রবেশ ফি ৫০ আরমবি লাগবে।

আমার এই ব্লগটি পরে আপনার যদি কোনো মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই জানাবেন।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তে-
রনি মোহাম্মদ ফয়েজুর রাহমান
জিয়াংসু ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এ্যান্ড টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত।




৫টি মন্তব্য: